Sale!

সরিষা ফুলের প্রাকৃতিক জমা মধু

499.00৳ 

সরিষা ফুলের মধু ঘ্রাণ অনেকটা সরিষার ফুলের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায় .

Category:

Description

সরিষা ফুলের প্রাকৃতিক RAW মধুর ৬ টি বৈশিষ্ট্যঃ টাটকা মধু দেখতে সাধারণত Extra Light Amber রঙের হয়। তবে কিছু দিন পরে জমে যাওয়ার ফলে সাদা রঙের হয়ে যায়।
সরিষার জমা মধু কারো কাছে অত্যান্ত পছন্দের আবার কারো কাছে অপছন্দের।ঘ্রাণ অনেকটা সরিষার ফুলের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। মধুর ঘনত্ব কম বা বেশি হতে পারে। মধু পাতলা হলে ফেনা হতে দেখা যায়। আর ঘনত্ব বেশি হলেও সরিষা মধুতে অনেক সময় সামান্য ফেনা হতে পারে। সরিষা ফুলের মধু ঘন হোক বা পাতলা হক- এটা সারা বছরই জমে থাকে। ঘন-পাতলা এবং তাপমাত্রার উপরে নির্ভর করে সম্পূর্ণ মধু বা বেশীরভাগ মধু জমে সাদা হয়ে থাকে। যেটা একেবারে ক্রিম এর মতো দেখা যায়।
Raw Honey এবং Processing Honey কাকে বলে?
মৌমাছি যে মধু তৈরি করে মৌচাকে জমা করে, সেই মধুই হচ্ছে কাঁচা মধু বা ‘র হানি’। সেটা গ্রাম গঞ্জের হাতে চাক কাটা মধু হোক বা বাক্সের ভেতরে পোষা মৌমাছি দিয়ে উৎপাদিত মধু হোক। এই দুই প্রকার মৌমাছিই যদি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে, তাহলে এই দুই প্রকার মধুই ভালো মধু, খাঁটি মধু। বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ মধু প্রক্রিয়াজাত মধু বা Processing Honey। কাঁচা মধু এবং প্রক্রিয়াজাত মধু , এই দুই মধুর মধ্যে স্পষ্ট অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রক্রিয়াজাত করা হয় মধু গরম করার মাধ্যমে। আর মধু গরম করলে মধুর অনেক উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায় এবং অনেক সময় ক্ষতিকর হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে ভালো মানের Raw Honey বা কাঁচা মধু খাওয়ার জন্য।
সরিষা ফুলের মধু কখন এবং কিভাবে সংগ্রহ করা হয়?
বাংলাদেশে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের সময় সাধারণত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। মাঠে যখন প্রচুর পরিমাণে সরিষা ফুল ফুটতে শুরু করে তখন মৌ চাষিরা তাদের মৌ বাক্স গুলো সরিষার ক্ষেতের পাশে স্থাপন করে। তারপর ফুল বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথেই মৌমাছিরা ওই এলাকা থেকে মধু সংগ্রহ করে তাদের মৌ বাক্সে জমা রাখে। এভাবেই তৈরি হয় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সরিষা ফুলের খাঁটি মধু (জমা মধু)।
সরিষা ফুলের খাঁটি মধু ফেনা হয়
সরিষা ফুলের প্রাকৃতিক Raw মধু অনেক সময় ফেনা হতে দেখা যায়। যা দেখে একজন সাধারণ মধু ক্রেতা, মধু খাঁটি হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেন। কিন্তু এই সন্দেহ টি একেবারেই সঠিক নয়। নিচে তার Scientific ব্যাখ্যা দেওয়া হলঃ
সরিষা ফুলের প্রাকৃতিক Raw মধু তে অ্যাক্টিভ এনজাইম, প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এবং মধু একটি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় পদার্থ যাতে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ থাকে। আর গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ- কার্বন, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত। এ জন্য সরিষা ফুলের প্রাকৃতিক Raw মধুতে যদি ময়েশ্চারের পরিমাণ বেশি থাকে, অর্থাৎ মধুর ঘনত্ব কম হয় বা মধু পাতলা হয় এবং মধু যদি ঝাঁকি লাগে, তখন মধুর মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে কার্বন ডাইঅক্সাইড তৈরি করে। এতে মধুর মধ্যে বায়ু বুদবুদ সৃষ্টি হয় এবং একই সাথে মধু ফেনা হতে দেখা যায় ও পাত্রের ভেতরে গ্যাস হতে পারে, যার ফলে প্ল্যাস্টিক এর বোতল কিছুটা ফুলে যেতে পারে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে- ফেনা কম বা বেশি হবে ময়েশ্চারের পরিমাণ কম-বেশির কারনে। তবে সরিষা মধু যদি খুব ঘনও হয় তারপরও অনেক সময় সামান্য ফেনা হতে দেখা যায়। মধুতে ফেনা তৈরি হলে সেটাকে কিছুক্ষণ স্থিরভাবে রেখে দিলে আবার সেই ফেনা মধুতে পরিণত হবে। এতে মধুতে কোন ক্ষতি বা সমস্যা হবে না।
যতটা সম্ভব খুব সহজে মুল বিষয়গুলো বোঝানর চেষ্টা করেছি। তারপরও একবার পড়ে বুঝতে অসুবিধা হলে দুই তিন বার পড়তে পারেন। তাহলে আরও ভালমতো বুজতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
আমি মনে করি, এই ব্লগ পোস্টে দেওয়া তথ্য গুলো যদি কোনো মধু ক্রেতা ভালোভাবে আয়াত্ত করতে পারে। তাহলে আর কোনো ভেজাল ব্যবসায়ী অথবা প্রতারক, তাকে সরিষা ফুলের খাঁটি মধু বলে ভেজাল বা কৃত্তিম মধু দিতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.

Vendor Information

  • 3.67 3.67 rating from 3 reviews